এখানে ডেলিভারি করাতে আগ্রহী হওয়ার আগে, যা অবশ্যই জানা উচিত

এখানে ডেলিভারি করাতে আগ্রহী হওয়ার আগে, যা যা অবশ্যই জানা উচিত

 

আপনার আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ। এখানে দেয়া বিষয়গুলো বিস্তারিত পড়ুন। বিস্তারিত না জেনে, আগ্রহী হলে, আপনার প্রত্যাশা পূরণ নাও হতে পারে। আরও কিছু জানার থাকলে Facebook এ মেসেজ দিয়ে জিজ্ঞেস করতে পারেন। ফেসবুক পেইজে প্রাসঙ্গিক মেসেজের রিপ্লাই দেয়া হয়।
বিস্তারিত দেখতে নিচের  আইকন ক্লিক করুন


সবার কি নরমাল ডেলিভারি হয়?

রোগীর ফিডব্যাক ভিডিও দেখে, বিভিন্নজনের পজিটিভ কমেন্ট দেখে বা আপনার পরিচিত কারও কাছ থেকে শুনে অতি উৎসাহী হবেন না। সবার স্বাভাবিক প্রসব হয় না। প্রত্যেক প্রসূতির শারীরিক কন্ডিশনের ভিন্নতা রয়েছে, তাই অন্যজনের হয়েছে বলে একইরকম আপনারও অবশ্যই হবে এমনটা ভেবে অধিক প্রত্যাশা তৈরি করবেন না। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ডেলিভারির জন্য সাধারণত জটিল বা হাই রিস্ক প্রসূতিরা আসেন, তাই অনেকের জটিলতা দেখা দিলে ট্রায়ালের পরও সিজার করাতে হয়। নরমাল ডেলিভারি অবশ্যই হবেই, এমন নিশ্চয়তা আগে থেকে কেউ দিতে পারে না, তাই এমন নিশ্চয়তা কেউ দিয়ে থাকলে সেটি বিশ্বাস করা হতে বিরত থাকুন।


এখানে নরমাল ডেলিভারি ট্রায়ালের জন্য যা মানতে হবে

প্রসূতি ও বাচ্চার সবকিছু স্বাভাবিক প্রসবের উপযোগী থাকলে এখানে নরমাল ডেলিভারির জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়। তবে নরমাল ডেলিভারি ট্রায়ালের যে কোন পর্যায়ে মা ও বাচ্চার যদি সমস্যা দেখা দেয় সেক্ষেত্রে জরুরি সিজারের সিদ্ধান্ত দেয়া হলে, সেটা মেনে নিতে পারলে তবেই নরমাল ডেলিভারি ট্রায়ালের জন্য আসবেন। এখানে স্বাভাবিক প্রসবের আশা দিয়ে কাউকেই অহেতুক সিজারের ডিসিশন দেয়া হয় না। যে কোন ডেলিভারি বা অপারেশনের ক্ষেত্রে রোগীপক্ষের লিখিত সম্মতি নেয়া হয়।


১ম সিজারের পর নরমাল ডেলিভারি সম্পর্কিত

সিজার পরবর্তী নরমাল ডেলিভারি অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। এক্ষেত্রে সকল শর্ত মেনে নরমাল ডেলিভারির চেষ্টা করা হয়। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে যদি সিজার করাতে হয়, তাহলে তাৎক্ষণিক সিজার ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করতে হবে। এধরনের ডেলিভারির জন্য শুরু থেকে নির্দিষ্ট চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকতে হয়। নির্দিষ্ট কিছু রিপোর্ট, অন্যান্য শর্ত, আগের সিজারের সেলাইয়ের থিকনেস এবং শেষ মুহূর্তে প্রসূতি ও বাচ্চার কন্ডিশন দেখে সিজারের পর নরমাল ডেলিভারি ট্রায়াল দেয়া যাবে কিনা, সে সিদ্ধান্ত দিতে হয়।


হসপিটালের খরচ ও সার্ভিস কেমন?

হসপিটালের খরচ ও সার্ভিস কেমন সে বিষয়ে আগেই ধারণা রাখুন। উক্ত হসপিটালের পরিচালনা বা মালিকানায় আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। হাসপাতালের খরচ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত হয়। ডেলিভারি, সিজার ও অন্যান্য অপারেশনের খরচ সম্পর্কে ধারণা পেতে আমার Facebook পেইজে মেসেজ দিতে পারেন। ৩য় পক্ষ, অসৎ কারও প্রলোভন হতে সতর্ক থাকুন।


সিরিয়াল পেতে কেন সমস্যা হয়?

কোন চিকিৎসকের পক্ষে একদিনে অসংখ্য রোগী দেখা সম্ভব নয়। প্রসূতি রোগী দেখতে অন্য রোগীর তুলনায় সময় বেশি লাগে। এজন্য চাইলেও চেম্বারে একদিনে বেশি সংখ্যক রোগী দেখা সম্ভব নয়। নির্দিষ্ট সংখ্যক রোগী সময় নিয়ে দেখার কারণে সিরিয়াল পেতে সমস্যা হতে পারে। এজন্য ওয়েবসাইট হতে অগ্রিম সিরিয়াল নিয়ে রাখুন। এখানে সিরিয়াল নিয়ে কোন অনিয়ম করা হয় না। তাছাড়া চেম্বারে রোগী দেখার পাশাপাশি সরকারি ডিউটি, ডেলিভারি, অপারেশন, ইমার্জেন্সি ও অন্যান্য ভর্তি রোগী দেখতে হয়। ছোটখাটো সমস্যায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানোর প্রয়োজন পড়ে না।


চেম্বারে রিপোর্ট দেখানোর সময় ও নিয়ম

চেম্বারে দেখানোর ০৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেখাতে সিরিয়াল নিতে হয় না ও রিপোর্ট দেখাতে ভিজিট দিতে হয় না। তবে এসময় রোগের নতুন উপসর্গ সংক্রান্ত দীর্ঘ আলোচনা ও শারীরিক পরীক্ষার সুযোগ নেই। রিপোর্ট দেখানোর সময় রোগীর উপস্থিতি অত্যাবশ্যক নয়। তাছাড়া ডেলিভারি পরবর্তী ১ম ফলোআপে আসার জন্য এবং সেলাই কাটানোর জন্য সিরিয়াল নিতে হয় না।


মোবাইল কলে চিকিৎসা পরামর্শ দেয়া হয়?

রোগী ও রিপোর্ট না দেখে মোবাইল কলে চিকিৎসা পরামর্শ দেয়া হয় না। এক্ষেত্রে সঠিক পরামর্শ দেয়া যায় না। তাছাড়া প্রসূতিবিদগণ সার্বক্ষণিক ডেলিভারি, অপারেশন, রোগী দেখায় ব্যস্ত থাকেন। প্রসূতিদের যে কোন সময় ইমার্জেন্সি হতে পারে। ইমার্জেন্সি সেবা রোগীকে মোবাইল কলের মাধ্যমে দেয়া সম্ভব নয়। তাই প্রসূতি বা তার স্বজনদের চিকিৎসা পরামর্শ বিষয়ে মোবাইল ফোনে সরাসরি কথা বলার সুযোগ নেই। বিষয়টি ভেবে তবেই চেম্বারে দেখাবেন কিনা সিদ্ধান্ত নিবেন। পেইজে মেসেজ দিলে সর্বশেষ প্রেসক্রিপশন ও রিপোর্টসহ মেসেজ দিবেন। তবে তাৎক্ষণিক মেসেজের রিপ্লাই পাবেন না, যেহেতু ডক্টর ব্যস্ত থাকেন।


রোগীর এটেন্ডেন্ট সম্পর্কিত

ডেলিভারির সময় প্রসূতির স্বামী কুমিল্লার বাইরে অবস্থান করলে, তার মতামত আগেই নিয়ে রাখবেন। এক্ষেত্রে ডেলিভারি বা অপারেশনের সময় রোগী সম্পর্কে ফোনে কারও সাথে কথা বলার জন্য অনুরোধ করবেন না। রোগীর অবস্থা সম্পর্কে উপস্থিত এটেন্ডেন্টকে বিস্তারিত ধারণা দেয়া হবে। হসপিটালে দায়িত্বরত সকলের সাথে সহযোগিতামূলক আচরণ করুন। প্রসূতির সাথে উগ্র স্বভাবের কাউকে আনা উচিত নয়, এতে সঠিক চিকিৎসা সেবা প্রদান প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।


ইমার্জেন্সি হলে কি করবো?

আমার তত্ত্বাবধানে আছেন এমন রোগীর যে কোন সময় ইমার্জেন্সি হলে গোমতী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যাবেন। সেখানে ডিউটি ডক্টর রোগী দেখে আমাকে জানাবে। রোগীর বাসা দূরে হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যাবেন।


নরমাল ডেলিভারির সময়, আপনি সার্বক্ষণিক উপস্থিত থাকেন?

চেম্বারে রোগী দেখার সময়, অপারেশন থিয়েটারে থাকলে, গভীর রাতে এবং ডিউটি চলাকালীন ডেলিভারি টিম সার্বক্ষণিক রোগীর সাথে উপস্থিত থাকে। ডেলিভারির চূড়ান্ত সময়ে সাধারণত আমি উপস্থিত থাকি, সেটা গভীর রাত, শুক্রবার বা সরকারি বন্ধের দিন হলেও। কখনও কোন কারণে আমি আসার আগেই ডেলিভারি হয়ে গেলে, সেক্ষেত্রে আমি আসার পর ডেলিভারি পরবর্তী কাজ সম্পাদন করি।

ডেলিভারির দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় কোন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সার্বক্ষণিক রোগীর পাশে বসে থাকেন না। তাই আপনি যদি আশা করে থাকেন দীর্ঘ প্রসব প্রক্রিয়ার পুরো সময়, বিশেষ করে গভীর রাতেও কনসালটেন্ট প্রসূতির পাশে বসে থাকবেন, তাহলে সেটি ভুল ধারণা। কনসালটেন্ট কখনও ছুটিতে থাকলে বিকল্প চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করেন।


নরমাল ডেলিভারির জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের ধৈর্য কেন জরুরি

নরমাল ডেলিভারি সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া । প্রসূতি ও স্বজনদের ধৈর্যের উপরও এর সফলতা নির্ভর করে। পরিবারের সদস্যগণ একইরকম সিদ্ধান্ত নিয়ে নরমাল ডেলিভারি চেষ্টা করাবেন। ডেলিভারির সময় রোগীর স্বামী কুমিল্লার বাইরে অবস্থান করলে তার সিদ্ধান্ত বা মতামত আগেই নিয়ে রাখুন। শেষমুহুর্তে একেকজন একেক রকম সিদ্ধান্ত দিবেন না। চিকিৎসকের সিদ্ধান্তের প্রতি আস্থা না থাকলে, সেখানে না আসাই ভালো।


গর্ভাবস্থায় কেন দূর হতে আসা উচিত নয়

প্রেগন্যান্সিতে যে কোন সময় ইমার্জেন্সি হতে পারে, তাই দূরের রোগী চেম্বারে আসতে নিরুৎসাহিত করা হয়। গর্ভাবস্থায় দীর্ঘ সময় একজন চিকিৎসকের ফলোআপে থাকতে হয়। রোগীর বাসা দূরে হলে প্রতিবারই যাওয়া আসায় সমস্যা হবে। বাসা দূরে হলে হসপিটালে আসার সময় পথিমধ্যে রোগী ও বাচ্চার সমস্যা হতে পারে । বাসা দূরে এই কারণ দেখিয়ে চেম্বারে সিরিয়াল ভঙ্গ করে দেখানোর সুযোগ পাবেন না।


জরুরি হাসপাতালে যাওয়ার জন্য পূর্বপ্রস্তুতি

জরুরি মুহুর্তে ও গভীর রাতে ইমার্জেন্সি হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজনে, আগেই কোন গাড়িচালকের সাথে কথা বলে, তার নাম্বার নিয়ে রাখুন। রাস্তায় ঝাঁকুনি কম লাগে এমন যানবাহন ব্যবহার করতে পারলে ভালো। অ্যাম্বুলেন্সের নাম্বারও জোগাড় করে রাখুন, যেন হঠাৎ করে রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে গেলে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে পৌঁছানো যায়।

 

নরমাল ডেলিভারিতে সাধারণত ১ থেকে ২ দিন এবং সিজারিয়ান সেকশনের পর ৩ থেকে ৪ দিন হাসপাতালে থাকতে হয়। প্রয়োজনে আরও বেশিদিন হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, শুরুতে স্বাভাবিক প্রসবের পরিকল্পনা থাকলেও মা এবং বাচ্চার অবস্থার উপর ভিত্তি করে চিকিৎসক যেকোনো মুহূর্তে প্রসূতির অপারেশনের জন্য পরামর্শ দিতে পারেন। কাজেই নরমাল ডেলিভারির পরিকল্পনা থাকলেও সর্বনিম্ন ৩ থেকে ৪ দিনের প্রস্তুতি নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া ভালো।


ব্যথামুক্ত নরমাল ডেলিভারি সম্পর্কে জানুন

ব্যথামুক্ত নরমাল ডেলিভারি সম্পূর্ণ ব্যথামুক্ত নয় । এক্ষেত্রে ৭০-৮০% পর্যন্ত ব্যথা কমানো হয় । ব্যথামুক্ত নরমাল ডেলিভারির খরচ স্বাভাবিক প্রসবের খরচের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে। ব্যথামুক্ত স্বাভাবিক প্রসব প্রক্রিয়ায় নরমাল ডেলিভারির সময় যে সকল নার্ভ ব্যথার অনুভূতি বহন করে সেগুলো ব্যথানাশক ওষুধ দিয়ে অবশ করে দেয়া হয়, ফলে রোগী নরমাল ডেলিভারির ব্যথা অনুভব অনেকটাই কম অনুভব করে।


ডেলিভারি ও অপারেশনের পূর্বে রক্তদাতা প্রস্তুত রাখুন

যে কোন ধরণের ডেলিভারি ও জটিল অপারেশনের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ব্লাড ডোনার প্রস্তুত রাখুন। অনেক সময় নরমাল ডেলিভারিতেও প্রসূতির অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে পারে।


চেম্বারে ও হসপিটালে আসার পূর্ব প্রস্তুতি

হসপিটালে আসার সময় সর্বশেষ আল্ট্রা রিপোর্টসহ সকল রিপোর্ট সাথে নিয়ে আসবেন। রোগীর প্রেসক্রিপশন ফোল্ডারের ভিতরে দেয়া সকল নির্দেশনা ভালোমতো পড়ুন। তাহলে প্রসূতির ইমার্জেন্সি সম্পর্কে ধারণা পাবেন। চেম্বারে যাওয়ার পূর্বে আপনার শারীরিক সমস্যাগুলো লিখে নিন, যেন ডক্টরের কাছে যাওয়ার পর ভুলে না যান। চেম্বারে কিংবা ইমার্জেন্সিতে অপ্রয়োজনীয়, অপ্রাসঙ্গিক আলাপ করে সময় নষ্ট করা হতে বিরত থাকুন। ডেলিভারির জন্য আসার সময় দরকারি ব্যক্তিগত জিনিসপত্র সাথে নিয়ে আসুন।


অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি

সবার শরীর নরমাল ডেলিভারির জন্য প্রস্তুত থাকে না কিংবা যে কোন সময় প্রসূতি ও বাচ্চার পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে পারে। স্বাভাবিক প্রসবের সময় কিংবা প্রসবের পর অনেক সময় মা ও বাচ্চার বেশ কিছু জটিলতা দেখা দিতে পারে। অনেক সময় বাচ্চা জন্মানোর পরপর বাচ্চার শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে কিংবা ক্রুটিপূর্ণ বাচ্চার জন্ম হতে পারে। এসময় আপনার চিকিৎসক ও শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে চলুন। অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রয়োজন মানসিক ও আর্থিক প্রস্তুতি।


এপিসিওটমি (সাইড কাটা) ভীতি

বাচ্চা বড় হলে, প্রসূতির যোনীপথ প্রস্বস্ত না হলে বা অন্য কোন কারণে নরমাল ডেলিভারিতে এপিশিওটমি (সাইড কাটা) লাগতে পারে । কোন কোন ক্ষেত্রে শেষমুহুর্তে সাইড কাটার আবশ্যিকতা দেখা দেয়, এক্ষেত্রে সাইড কাটার জন্য আলাদা করে পূর্বানুমতি নেয়া হয় না । সাইড কাটা নিয়ে অতিরিক্ত ভীতি থাকলে নরমাল ডেলিভারির চেষ্টা করা উচিত নয়। সাইড কাটা সর্ম্পকে বিস্তারিত জানতে ও ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন..


বাচ্চার নড়াচড়া অবশ্যই খেয়াল রাখুন

গর্ভের বাচ্চার নড়াচড়া ১০/১২ বারের কম হলে বা বুঝতে না পারলে সাথে সাথে হসপিটালের ইমার্জেন্সিতে যাবেন । এক্ষেত্রে অবহেলা করলে বাচ্চা মারা যেতে পারে। আরেকটু দেখি, ঠিক হয় কিনা এমন ভেবে অনেকে অবহেলা করেন। বাচ্চার নড়াচড়া সম্পর্কে আরও জানুন


গর্ভাবস্থার শুরু থেকে একজন গাইনী ডক্টরের তত্ত্বাবধানে থাকুন

গর্ভাবস্থার শুরু থেকেই চেষ্টা করুন একজন গাইনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্বাবধানে থাকতে। বারবার ডক্টর পাল্টালে রোগীর সমস্যা থাকলে বা হাই রিস্ক প্রেগন্যান্সিতে রোগী ও বাচ্চার সমস্যা সঠিকভাবে আইডেন্টিফাই করা যায় না। ডেলিভারির পূর্বে কাউন্সেলিং এবং চিকিৎসকের ফলোআপে থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুনির্দিষ্ট কারণে গর্ভাবস্থার শেষ মুহুর্তে কিংবা নতুন রোগীর ডেলিভারি ডেট পার হওয়ার পর, Prolonged Labor বা দীর্ঘ সময় অন্য কোথাও ডেলিভারি চেষ্টার পর প্রসূতিকে হসপিটালে নিয়ে আসলে সেক্ষেত্রে নরমাল ডেলিভারির চেষ্টা করা হয় না।


ডেলিভারি চলাকালীন সতর্কতা

বাচ্চা বের হওয়ার সময় দুই পা দিয়ে চাপ দেয়া থেকে বিরত থাকুন। এতে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। এসময় উপস্থিত চিকিৎসক, নার্সের নির্দেশনা মেনে চলুন। প্রসূতি সহযোগিতা না করলে স্বাভাবিক প্রসবে জটিলতা সৃষ্টি হয়।


রোগী ও স্বজনদের আচরণ ও সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ

রোগী ও স্বজনদের সহযোগিতা ব্যতীত যথাযথ চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব নয়। রোগীর বিষয়ে আপনার চিকিৎসকের সিদ্ধান্তের উপর আস্থা রাখুন। কোন চিকিৎসকই রোগীর ক্ষতি চান না। চিকিৎসক ও দায়িত্বরত সকলের সাথে সৌহার্দপূর্ণ আচরণ করুন। রোগী ও স্বজনদের ভালো আচরণ, কর্তব্যরতদের সেবাদানে উৎসাহ বৃদ্ধি করে।


 

আরও পড়ুন
⦿ মোবাইলে কল করে ও ওয়েবসাইট হতে অগ্রিম সিরিয়াল নেয়ার নিয়ম
⦿ অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল, তারিখ পরিবর্তন ও পেমেন্ট ফেরত পাওয়ার নিয়ম
⦿ চেম্বার বন্ধ ও সময়সূচি সংক্রান্ত সকল নোটিশ