গর্ভকালীন ৪ থেকে ৬ মাস || Second Trimester

গর্ভকালীন ৪ থেকে ৬ মাস || Second Trimester

গর্ভাবস্থার ১৩ থেকে ২৬ সপ্তাহ পর্যন্ত সময়কে Second Trimester বলা হয়। এসময় গর্ভবতীর শরীরের মা হওয়ার লক্ষণ ফুটে উঠতে থাকে। এসময়ে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে অবগত থাকলে, গর্ভবতীর অযথা টেনশন এড়ানো যায়।


ছবি: ইন্টারনেট হতে সংগৃহীত


গর্ভাবস্থার প্রথম পর্যায়ের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা যেমন মাথা ঘুরানো, বমি হওয়া, সকালে ঘুম থেকে উঠার পর বমি ভাব লাগা, ক্ষুধামন্দা এসময় আস্তে আস্তে কমে আসে। এসময় নিজের শরীরে নতুন প্রাণের অস্তিত্ব আস্তে আস্তে শরীরে সহনীয় হয়ে যায়।

🟥 এসময় করণীয়, বর্জনীয়:

এসময় মুখে রুচি ফিরে আসে তাই গর্ভবতীর পুষ্টিকর খাবার পরিমাণে বেশি খাওয়া উচিত। প্রতিদিন খাবারের মেনুতে ১ গ্লাস দুধ, ১টি ডিম, মাছ, প্রচুর শাকসবজি, ফল, ফলের জুস ও প্রচুর পানি পানের অভ্যাস করতে হবে।

এসময় রাত জাগা উচিত নয় এবং পরিমিত ঘুমানো উচিত। ৪-৬ মাস ট্রাভেল করার ক্ষেত্রে মোটামুটি কম ঝুঁকির সময়। এসময় এবরশনের ঝুঁকি কমে যায়।

নিজের ব্যক্তিগত পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে খেয়াল রাখা উচিত। প্রতিদিন গোসল করা উচিত। দাঁতে কোনো সমস্যা থেকে থাকলে এসময়ে চিকিৎসা করতে হবে। টিটি টিকার সাথে কোভিড ভ্যাক্সিন দিতে হবে ১৩-৩৩ সপ্তাহের মধ্যে।

এসময় বাচ্চা বড় হবার সাথে সাথে তলপেটে চাপ বাড়ার কারণে অনেকের কোমরেও ব্যথা বাড়তে পারে। গর্ভের বাচ্চা বড় হবার সাথে সাথে প্রস্রাবের থলির উপর চাপ পড়তে থাকে। তারপরও প্রচুর পানি পান করা, বারবার প্রস্রাব করার অভ্যাস করতে হবে। যাদের আগে থেকেই Constipation এর সমস্যা ছিলো, তাদের সমস্যা আরো বাড়তে পারে। এসিডিটির সমস্যাও বাড়তে পারে। তাই খাবারের পরে ১ঘন্টা হাঁটার অভ্যাস করতে হবে। আর না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

এসময় পায়ে পানি আসতে পারে অনেকের। সাধারণত রক্তশূন্যতা, হাই প্রেশার, প্রোটিনে ঘাটতি হবার কারণে এমনটি হতে পারে তাই ব্লাড প্রেশার নিয়মিত চেক করা উচিত। এসময় ক্যালসিয়ামের ঘাটতিতে পায়ে ব্যথা হতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট নিতে হবে।

🟢 কি কি পরীক্ষা করাতে হবে
- রক্ত, প্রস্রাবের পরীক্ষা আগে (১ম ৩মাসে) করানো না হয়ে থাকলে এ সময়ে করতে হবে
- ১৮ থেকে ২২ সপ্তাহের মধ্যে এনোমালি স্ক্যান করতে হবে বাচ্চার কোনো জন্মগত ত্রুটি আছে কিনা বোঝার জন্য।

🟢 এ সময়ের রিস্ক ফ্যাক্টরগুলো হলো:
- পায়ে পানি আসা
- বুক জ্বালাপোড়া করা
- রক্তপাত হওয়া
- পানি ভেংগে যাওয়া
- বাচ্চার নড়াচড়া কম বুঝতে পারা
- অন্যান্য যা প্রেগন্যান্সির বাকী সময়েও হতে পারে- জ্বর, মাথাব্যথা, প্রস্রাবে ইনফেকশন, তলপেটে ব্যথা ইত্যাদি

উপরের যেকোনো রিস্ক সিম্পটম্প দেখা দিলে অপেক্ষা না করে সাথে সাথে চেক আপ করানো উচিত। গর্ভাবস্থায় 2nd trimester কম ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও যেকোনো সময় ইমার্জেন্সির জন্য তৈরি থাকা উচিত। গর্ভাবস্থায় অবশ্যই নিয়মিত চিকিৎসকের ফলোআপে থাকবেন।

ডা. শাহিদা আক্তার রাখী
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য)
এফসিপিএস (অবস এন্ড গাইনী)
অবস এন্ড গাইনী বিশেষজ্ঞ ও সার্জন
ট্রেইন্ড ইন ইনফার্টিলিটি এন্ড ল্যাপারোস্কপিক সার্জারি

🔴 চেম্বার: গোমতী হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেড
নজরুল এভিনিউ, ২য় কান্দিরপাড়, কুমিল্লা
হটলাইন: 01879-970055, 01711-798083

রোগী দেখার সময়: বিকাল ৪টা হতে রাত ৮টা (শুক্রবার চেম্বার বন্ধ)

সিরিয়াল দুই ভাবে নেয়া যায়:
🔴 সকাল ১০টায় 01958-422803 নাম্বারে কল করে। সিরিয়াল নেয়া শেষ হলে মোবাইল বন্ধ থাকে।

🔴 এবং ওয়েবসাইট হতে অগ্রিম সিরিয়াল নেয়া যায়।

 

আরও পড়ুন
⦿ গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস || First Trimester
⦿

গর্ভাবস্থার শেষ তিন মাস || Third Trimester