সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন - Frequently Asked Questions (FAQ)

সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন - Frequently Asked Questions (FAQ)

 


সিরিয়াল পেতে কেন সমস্যা হয়?

কোন চিকিৎসকের পক্ষে একদিনে অসংখ্য রোগী দেখা সম্ভব নয়। প্রসূতি রোগী দেখতে অন্য রোগীর তুলনায় সময় বেশি লাগে। এজন্য চাইলেও চেম্বারে একদিনে বেশি সংখ্যক রোগী দেখা সম্ভব নয়। নির্দিষ্ট সংখ্যক রোগী সময় নিয়ে দেখার কারণে সিরিয়াল পেতে সমস্যা হতে পারে। এজন্য ওয়েবসাইট হতে অগ্রিম সিরিয়াল নিয়ে রাখুন। এখানে সিরিয়াল নিয়ে কোন অনিয়ম করা হয় না। তাছাড়া চেম্বারে রোগী দেখার পাশাপাশি সরকারি ডিউটি, ডেলিভারি, অপারেশন, ইমার্জেন্সি ও অন্যান্য ভর্তি রোগী দেখতে হয়। ছোটখাটো সমস্যায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানোর প্রয়োজন পড়ে না।


হাসপাতালে সিরিয়াল নেয়া হয়?

না। মেসেঞ্জারে কিংবা হাসপাতালে সরাসরি সিরিয়াল নেয়া হয় না। সিরিয়াল নিতে হয় মোবাইলে সকাল ১০টায় কল করে অথবা ওয়েবসাইট হতে অগ্রিম সিরিয়াল নেয়া যায়।


চেম্বার বন্ধ থাকলে কিভাবে জানতে পারবো?

প্রতি শুক্রবার চেম্বার বন্ধ থাকে। শুক্রবার বাদে অন্য কোনদিন জরুরি কারণে চেম্বার বন্ধ থাকলে, ফেসবুক পেইজের স্টোরি ও ওয়েবসাইটে নোটিশের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয়। চেম্বার বন্ধ থাকলেও ডেলিভারি এবং জরুরি সেবা চালু থাকে। কখনও আমি কুমিল্লার বাইরে থাকলে, আমার বিকল্প কনসালটেন্ট দায়িত্ব পালন করেন।


ডেলিভারির কতদিন পর পুনরায় গর্ভধারণ করা ভালো?

স্বাভাবিক প্রসব কিংবা সিজারিয়ান সেকশনে সন্তান প্রসবের কতদিন পর বাচ্চা নেয়া যাবে এর কোনো বাঁধাধরা নিয়ম নেই। তবে একেক প্রসূতির শারীরিক কন্ডিশন একেক রকম হয়ে থাকে। অনেকের পুষ্টি ঘাটতি ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যা থাকে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে দম্পতিরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। মা ও অনাগত শিশুর স্বাস্থ্য ও অন্যান্য অবস্থা বিবেচনা করে সাধারণত ডেলিভারির দেড় থেকে দুই বছরের বিরতিতে গর্ভধারণ করা ভালো।


ইমার্জেন্সি হলে কি করবো?

আমার তত্ত্বাবধানে আছেন এমন রোগীর যে কোন সময় ইমার্জেন্সি হলে গোমতী হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যাবেন। সেখানে ডিউটি ডক্টর রোগী দেখে আমাকে জানাবে। রোগীর বাসা দূরে হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যাবেন।


ডেলিভারি ডেট পার হয়ে গেলে করণীয়

ডেলিভারি সম্ভাব্য তারিখ পার হয়ে গেলে আপনি যে ডক্টরের তত্ত্বাবধানে সেখানে যাবেন অথবা নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাবেন। চিকিৎসক সরাসরি রোগীকে পর্যবেক্ষণ করে অপেক্ষা করা যাবে কিনা বা পরবর্তী করণীয় জানাবেন।

ডেট পার হওয়ার পর চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে, নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নিলে, অপেক্ষা করতে থাকলে, রোগী ও গর্ভের সন্তানের সমস্যা হতে পারে। বিস্তারিত


নরমাল ডেলিভারির জন্য বাচ্চার ওজন

সাধারণত জন্মের সময় একটি সুস্থ বাচ্চার ওজন ২.৫ কেজি থেকে ৪ কেজি মধ্যে হয়ে থাকে। গর্ভের শিশু আকারে বড় হলে স্বাভাবিক প্রসব অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে আমাদের দেশের নারীদের উচ্চতা তুলনামূলক কম হওয়ায় বেশি ওজনের শিশু স্বাভাবিক প্রসব অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না। শিশুর ওজনের পাশাপাশি অন্য কোন জটিলতা আছে কিনা তাও বিবেচনা করা হয়। বেশি ওজনের শিশু আকারে বড় হয়, যার কারণে স্বাভাবিক প্রসবে জটিলতার ঝুঁকি থাকে ও সিজারিয়ান অপারেশনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।


ডেলিভারির কতদিন পর সহবাস করা যায়?

সাধারণত ডেলিভারির পর ৬ সপ্তাহ বা দেড় মাস পর হতে সহবাস করা যায়। তবে এসময় থেকে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করা উচিত। কারও ক্ষেত্রে ডেলিভারির পর পুরোপুরি সুস্থ হতে বেশি সময় লাগে, এক্ষেত্রে প্রয়োজনে চিকিৎসা পরামর্শ নিন।


অকাল প্রসব বা প্রিম্যাচিউর ডেলিভারি কি?

গর্ভাবস্থার ৩৭ সপ্তাহের পূর্বে ডেলিভারি হলে তাকে অকাল প্রসব বা প্রিম্যাচিউর ডেলিভারি বলা হয়।


নরমাল ডেলিভারি কত সপ্তাহে হয়?

কখন নরমাল ডেলিভারি হবে এর কোন সুনির্দিষ্ট সময় নেই। সাধারণত ৩৭ হতে ৪২ সপ্তাহের মধ্যে স্বাভাবিক প্রসব হলে সেটিকে নিরাপদ বিবেচনা করা হয়। তবে এ সময়ের আগে বা পরে ডেলিভারি হওয়া শিশুদেরও জটিলতায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।


কত বছর বয়স পর্যন্ত নরমাল ডেলিভারি সম্ভব?
এটি নির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব নয়। কারণ একেকজনের ক্ষেত্রে একেকরকম হতে পারে। তবে সাধারণত ৩৫ বছর বয়সের পরে প্রথমবার গর্ভধারণ করলে গর্ভকালীন ও প্রসবকালীন ও পরবর্তীতে জটিলতা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বেশি বয়সে গর্ভধারণ করলে সিজারের সম্ভাবনা ও জটিলতা বৃদ্ধি পায়।

 

  • কোন চিকিৎসকের পক্ষে একদিনে অসংখ্য রোগী দেখা সম্ভব নয়। প্রসূতি রোগী দেখতে অন্য রোগীর তুলনায় সময় বেশি লাগে। এজন্য চাইলেও চেম্বারে একদিনে বেশি সংখ্যক রোগী দেখা সম্ভব নয়। নির্দিষ্ট সংখ্যক রোগী সময় নিয়ে দেখার কারণে
  •  
  • এটি নির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব নয়। কারণ একেকজনের ক্ষেত্রে একেকরকম হতে পারে। তবে সাধারণত ৩৫ বছর বয়সের পরে প্রথমবার গর্ভধারণ করলে গর্ভকালীন ও প্রসবকালীন ও পরবর্তীতে জটিলতা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বেশি বয়সে গর্ভধারণ করলে সিজারের সম্ভাবনা ও জটিলতা বৃদ্ধি পায়।
  •  
  • গর্ভাবস্থার ৩৭ সপ্তাহের পূর্বে ডেলিভারি হলে তাকে অকাল প্রসব বা প্রিম্যাচিউর ডেলিভারি বলা হয়।

 

কত বছর বয়স পর্যন্ত নরমাল ডেলিভারি সম্ভব?
এটি নির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব নয়। কারণ একেকজনের ক্ষেত্রে একেকরকম হতে পারে। তবে সাধারণত ৩৫ বছর বয়সের পরে প্রথমবার গর্ভধারণ করলে গর্ভকালীন ও প্রসবকালীন ও পরবর্তীতে জটিলতা দেখা দেয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। বেশি বয়সে গর্ভধারণ করলে সিজারের সম্ভাবনা ও জটিলতা বৃদ্ধি পায়।