গর্ভকালীন করণীয় ও বর্জনীয়

গর্ভকালীন করণীয় ও বর্জনীয়

গর্ভাবস্থা মা ও সন্তান উভয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। তাই গর্ভকালীন নিজের সুস্থতা ও অনাগত সন্তানের কথা ভেবে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হয়। এসময় সামান্য অসতর্কতায় হয়তো হতে পারে বড় বিপদ। তাই গর্ভকালীন যে কোন স্বাস্থ্য সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

ছবি: ইন্টারনেট হতে সংগৃহীত

গর্ভাবস্থায় করণীয়:

১. গর্ভধারণের পূর্বে মানসিকভাবে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত করে নিন। সর্বশেষ পিরিয়ড কখন হয়েছিল তা মনে রাখুন।

২. গর্ভাবস্থায় মা যেসব খাবার গ্রহণ করবে তার উপর শিশুর বিকাশ নির্ভর করবে। তাই খাবার তালিকায় প্রচুর ভিটামিন সি, আয়রন, ফলিক এসিড, ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যেন থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

৩. পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

৪. গর্ভকালীন ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত কোন ঔষধ সেবন করবেন না।

৫. গর্ভাবস্থায় কমপক্ষে ৪ বার স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

৬. গর্ভবতী নারীর সন্তান জন্মদানের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে পারে, সেজন্য আগে থেকেই ব্লাড ডোনার ম্যানেজ করে রাখুন।

৭. গর্ভকালীন যে কোন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিলে সময়ক্ষেপণ না করে জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।

৮. সুস্থ স্বাভাবিক প্রসবের জন্য গর্ভবতীর ফিট থাকাটা জরুরী, তাই গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শমতো প্রতিদিন কিছুসময় হাঁটাচলা করুন।

৯. সঠিক সময়ে টিটি, কোভিড প্রভৃতি প্রয়োজনীয় টিকা নিতে হবে।

১০. প্রসবের সময় বাদে গর্ভাবস্থায় অন্য সময় রক্তক্ষরণ হলে দ্রুত আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

১১. গর্ভাবস্থায়, প্রসবের সময় বা প্রসব পরবর্তী যেকোনো সময় যদি খিঁচুনি দেখা দেয় তাহলে দ্রত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। খিঁচুনি এক্লাম্পসিয়ার প্রধান লক্ষণ, তাই দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে বাচ্চা ও মা দুজনেরই মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

১২. এসময় বাচ্চার নড়াচড়া কম, তলপেটের তীব্র ব্যথা, রক্তচাপ বৃদ্ধি, ভীষণ জ্বরসহ বিভিন্ন সমস্যায় দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। গর্ভকালীন জটিলতা ছাড়াও অন্যান্য সমস্যা, যেমন কাশি, জন্ডিস, ডায়াবেটিস প্রভৃতির চিকিৎসায় অবহেলা করা যাবে না।

গর্ভাবস্থায় বর্জনীয়:

১. ভারী কাপড় ধোয়া, ভারী জিনিস বহন, ঘর মোছা অর্থাৎ ভারী কোন কাজ করা যাবেনা।

২. অতিরিক্ত পরিশ্রম হয় এমন কোন কাজ করা যাবেনা।

৩. দুশ্চিন্তা করা থেকে বিরত থাকুন

৪. দীর্ঘ ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন

৫. ভুলেও বাইরের অস্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন না।

৬. গর্ভাবস্থার প্রথম ৩ মাস ও শেষ ১ মাস সহবাস পরিহার করা উচিত।

৭. গর্ভাবস্থায় কিছু খাবার যেমন- পেঁপে, আনারস, কলিজা ইত্যাদি বেশি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।